24/12/2024

SkbTv Channel Bangla News

মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চললেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আলামপুরের শহিদুল ইসলাম, দ্রুত গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর

Spread the love

মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চললেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আলামপুরের শহিদুল ইসলাম, দ্রুত গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাবাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে সরকার খুব হার্ডলাইনে, সারাবাংলাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতেও সরকারের মনোভাব  সেম, কুষ্টিয়ার পুলিশ প্রশাসন কুষ্টিয়াকে  মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে একের পর এক সাড়াশি অভিযান চালায়। এমন কোন মাদক বিক্রেতা নাই যে, পুলিশের খাচায় বন্দি হয় নি??  শহিদুলও একের অধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে, জেল খেটেছে কিন্তু মাদক ব্যবসা ছাড়ে নি। পুলিশের কাছে ওয়াদা দিলেও গোপনে গোপনে ঠিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনুসন্ধানী টিম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত  ৭ নং ওয়ার্ড এর  আলামপুর কুড়িপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার বিশারত আলীর বাড়ীর পাশে সে বাড়ি করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের টিম উক্ত এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলে জেনেছেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনা। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে,  শহিদুল ইসলাম এর জন্মস্থান কুষ্টিয়ার কাষ্টম মোড়ে,গত ২০ বছর আগে কুষ্টিয়ার একটি খুনের মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এরপর দীর্ঘদিন জেল খাটে, খুনের মামলায় এক সময় মুক্তি পেয়ে আলামপুর কুড়িপাড়া গ্রামের তাইজাল আলী শেখের একমাত্র মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করে।

তখন সে তাড়ি ব্যবসার সাথে লিপ্ত ছিলো, প্রতিদিন শহর থেকে পোলাপানরা তাড়ি খেতে তার বাসায় আসত, প্রতিদিন তার বাসায় রমরমা আসর বসত। তার এ ব্যবসার ফলে এলাকার উঠতি বয়সের তরুনরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং এলাকার মানুষ তার এ কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সেসময়কার আলামপুর ক্যাম্প ইনচার্জ তানভীর এর হাত থেকে বাচতে মাদক ব্যবসা ছেড়ে ভালো হবার রাস্তায় যাওয়ার প্লান করে স্থানীয় মক্কেল মোল্লার বাড়ির উপর একটি সমাবেশ করা হয় এবং সেই সমাবেশে গাজা ব্যবসায়ী লোকমান মোল্লা ও শহিদুল মাদক ব্যবসা ছেড়ে ভালো হয়ে যাওয়ার শপথ নেয় কিন্তু চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী। শহিদুল এর বেলায়ও সেম অবস্থা। তানভীর এর মত চৌকশ পুলিশ অফিসার বদলী হয়ে চলে গেলে আবারও রমরমা ব্যবসা শুরু করে। এভাবেই এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে প্রথম সারিতে নাম চলে আসে তাড়ি শহিদুলের নাম। গাজা, মদ, ফেন্সীডিল এর আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হত শহিদুলের বাড়িতে। বহুবার ছেড়ে দিতে চাইলেও জেল থেকে আসার পর আবারও শুরু করে এই মাদক ব্যবসা আর এই ব্যবসায় তাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে তার বউ তাসলিমা খাতুন। জানা যায় রাত গভীর অবদি তার বাড়িতে মদের আসর বসে এবং তার বউ গ্লাসে ঢেলে ঢেলে মদ খাওয়ায়, এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে তারা স্বামী স্ত্রী এই ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক মামলায় এখনো তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। আর এলাকাবাসীদের কাছে সে মাদকের সম্রাট হিসেবেই পরিচিত। সবশেষে গত কয়েকমাস আগে বাড়ি থেকে কয়েকশত ইয়াবা ট্যাবলেট সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে শেষ বারের মত সুপারিশে পার পেয়ে যায় কিন্তু কয়েকমাস জেল খেটে এসে আবারও পুরোদমে শুরু করে মাদক ব্যবসা। নিজ বাসায় মদ না রাখলেও তার চাষ করা পানের বরজের মধ্যে গাজা মদ ফেন্সিডিলসহ ইয়াবা ট্যাবলেট  রেখে দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক ব্যক্তি জানান।

ব্যবসার কৌশল পাল্টিয়ে দৌলতপুর সিমান্ত থেকে একজন তাকে নিয়মিত এগুলো সরবরাহ করে বলে জানা যায়। এছাড়া বিত্তিপাড়ার কয়েকজন এবং আলামপুর গ্রামের কয়েকজন তাকে  সরাসরি সহযোগিতা করে আসছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সাদা লুংগি আর সাদা শাট পরিহিত শহিদুল নিজের মদ ব্যবসা ঢাকতে কিছুদিন পোল্ট্রির ব্যবসা শুরু করলেও তা ছিলো শুধুমাত্র লোক দেখানো,  কুড়িপাড়ার ঘেনোর বাড়ির পিছনে গাজির দরগা নামের একটা জায়গা আছে, সেখানে বসেও সে মাদক  ব্যবসা চালাচ্ছে  বলে জানা যায়। তবে সবকিছুর উপরে মজার ব্যাপার হলো কুষ্টিয়ার ভাদালিয়া বটতৈল গ্রামের  এক যুবক নিজেকে  কুষ্টিয়ার পুলিশ প্রশাসনের সাথে দারুন সম্পর্ক আছে বলে নিজেকে জাহির করা  একজন এই মাদক সম্রাট শহিদুল ইসলামকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এবং তার ক্ষমতার দাপটেই শহিদুল নিজেকে ওপেন সিক্রেট ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীরা তার এহেন কাজে বিরক্ত প্রকাশ করলেও শহিদুলকে প্রকাশ্যে কিছু বলতে সাহস পায় না কারন তার হাত নাকি অনেক উপরে। পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও তার কিচ্ছু হবে না বলে সে এবং তার বউ দাম্ভিকতা করে বেড়ায়।  তবে এলাকাবাসীরা কুষ্টিয়ার মানবিক  পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এজন্য যে, এত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও শহিদুলের মত একজন মাদক সম্রাট বারবার গ্রেফতার হলেও কেন আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে?  তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকার উঠতি বয়সের তরুনদেরকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়ে মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখার জন্য মানবিক পুলিশ সুপারের আশু হস্ত কামনা করেছেন।

About The Author


Spread the love