23/12/2024

SkbTv Channel Bangla News

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও অবকাঠামো উন্নয়নে সফল কিংবদন্তি ভিসি ডক্টর হারুন-উর-রশিদ আসকারী।

Spread the love

এক সময় ইসলামী ছাত্রশিবির ও মৌলবাদের ঘাঁটি খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে গড়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। ভেঙে দিয়েছেন ছাত্রশিবির ও মৌলবাদের ঘাঁটি। প্রথাগত ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে তার হাত ধরেই আধুনিকরণের পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. হারুন- উর- রশিদ আসকারীকে ১২তম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ইংরেজী বিভাগের তিনবারের সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িক্ত পালন করেছেন। সব ক্ষেত্রেই দায়িক্ত পালনে তিনি সফল মহানায়ক। পরিবহন নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহনের দেখিছেন অকৃত্রিম সাফল্য। ১টি ডাবল ডেকার সহ ক্রয় করেছেন ১৫ টি নতুন গাড়ি। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে আরো গতিশীল। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরকে সুবিধার্তে আরো তিনটি ডবল ডেকার গাড়ি ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ইতিমধ্যে। আবাসন সংকট ইবিতে ৮৫% শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দিতে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ভিসি আসকারী প্রশাসনের সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার দোতলা করা হয়েছে।প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে রাখা হয়েছে এম্বুলেন্স। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোন উপাচার্য পূর্ণ মেয়াদ পার করতে না পারলেও সততা নিষ্ঠা এবং সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রফেসর আসকারী সফলতার সাথে তার প্রথম মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বস্তবায়নের একটি সহায়ক ক্ষেত্র হিসেবে প্রফেসর আশকারীর গৃহিত প্রথম মেগা প্রকল্প আগামী ২০২২ইং সালের মধ্য বাস্তবায়ন হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকরণ করণে তিনি সময় উপযোগী দ্বিতীয় মেগা প্রকল্পের রুপরেখা ঘোষনা করেছে যার মধ্য আছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ৫০ একর জমি অধিগ্রহন, কৃষি ও হেলথ সায়েন্স অনুষদ গঠন এবং শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মান। তাছাড়াও রিসার্চ সেল গঠন, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেল গঠন, সকল বিভাগে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা, চাকুরী মেলার আয়োজন করা, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ করা প্রভৃতি। ইতিমধ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রফেসর আসকারীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে অভাবিত উন্নয়ন বলে আখ্যা দিয়েছেন। আগামী ২০শে আগষ্ট এই সফল কিংবদন্তির উপাচার্য হিসাবে প্রথম মেয়াদ শেষ হবে।

About The Author


Spread the love