বিশেষ প্রতিবেদক।। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ হাজার মানুষ নিহত হন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংক। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের শতকরা ২৫ শতাংশ লোকই উপার্জনক্ষম বলছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, জিডিপিতে ৩ থেকে ৫ শতাংশ ঘাটতি তৈরি করে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু, তরুণ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি। এই দুই শ্রেণিকে দেশের ভবিষ্যৎ ও অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সড়ক দূর্ঘটনাকে জাতীয় উন্নয়নে প্রধান বাধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যমতে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুর্ঘটনায় শিকার হওয়া প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত বেশির ভাগ মানুষই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া এসব মানুষের পরিবারের কাছে দুর্ঘটনা যেন সারা জীবনের কান্না হয়েই এসেছে।
বুয়েট এআরআই সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুন নেওয়াজ এর মতে, দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়া ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষই কর্মক্ষম। দূর্ঘটনার শিকার এ কর্মক্ষম মানুষগুলো দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে। ফলে এসব দূর্ঘটনা তাদের ও দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই পরিবহনগুলোও নষ্ট হওয়ায়ও বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এতে শুধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একক ক্ষতিই নয়-দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ে দেশজ মোট উৎপাদন বা জিডিপিতেও।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)`র দাবি, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হলে সড়কে এসব দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে। সড়ক মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল, চালক-গাড়ির নানা দুর্বলতা, চালক- যাত্রী-পথচারীদের আইন অমান্য করার প্রবণতার সাথে রাস্তার অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণেও দিনদিন দেশের সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে সড়কে বেঘোরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ।
সড়কের নিয়ন্ত্রণের ভার বিআরটিএর হলেও আইন প্রয়োগ করে পুলিশ। অন্তত এ দুটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার অভাব থাকলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
More Stories
চট্টগ্রামে রেলের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে আজ থেকে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, তিনজন আটক I
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী