২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সাথে ৮৬ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কথা ছিলো বাংলাদেশের সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত আমাদের এই ঋণ দিবে। কিন্তু ঋণচুক্তির পর ১০ বছর পার হলেও ভারত তাদের কথা রাখেনি
এই দশ বছরে ৮৬ কোটি ডলারের মধ্যে ভারত ৬০ কোটি ডলার সুদের বিনিময়ে আমাদের সহায়তা করছে। এখনো বাকি আছে ২৬ কোটি ডলার।
প্রথম দফায় নেওয়া প্রকল্পগুলোর স্থবিরতার মধ্যেই ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দফায় ভারতের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত প্রমিজ করেছিল এই অর্থে আমাদের ১৪ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু ঋণচুক্তির পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভারত তাদের কথা রাখেনি। তারা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছরে ২০০ কোটি ডলারের মধ্যে ভারত মাত্র ৮.৪ কোটি ডলার দিয়েছে। ঋণের চুক্তি সই অনুযায়ী ভারত এখনো আমাদের ১৯১.৬ কোটি ডলার দিতে পারে নাই।
এছাড়া ২০১৭ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তৃতীয় দফায় আবারো ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতেও ভারত কথা দিয়েছিলো তাদের এ অর্থ আমাদের ১৭টি প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। কিন্তু চুক্তির সাড়ে ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। বলা যায় এই চুক্তির পর ভারত আমাদের এখনো ১ টাকাও দেয়নি। পুরোটাই পাওনা রয়ে গেছে! তৃতীয়বারের মত এক্ষেত্রেও ভারত ব্যর্থ হয়েছে।
More Stories
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার সেনাদের হামলায় দোনেৎস্কের বাখমুত শহরের পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হচ্ছে।
চট্টগ্রামে রেলের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে আজ থেকে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, তিনজন আটক I