ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা ফাতেমা কাশফিয়ার বাসায় লোকসংখ্যা মাত্র তিন জন। তিনি জানালেন, সবাই কর্মজীবী হওয়ায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেউই বাসায় থাকেন না। ফলে বিদ্যুত খরচও হয় না তেমন।
অথচ গত কয়েক মাসের বিদ্যুত বিলের পরিমাণ দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকেই এতো অসামঞ্জস্যতা বলে জানান মিসেস কাশফিয়া।
“আমাদের বাসায় বেসিক যে ডিভাইজগুলো আছে ফ্যান লাইট, টিভি, ফ্রিজ-এগুলোই চলে। কোন এসিও নাই। অথচ এখন পাঁচশ টাকায় এক সপ্তাহও চলে না। আগে এক হাজার/ ১২শ’ টাকায় পুরো মাস চলতো। অথচ গত মাসেই আমরা বিল দিলাম আড়াই হাজার টাকা। পোস্ট পেইডে, এমনটা কখনোই হয়নি।”
সেইসঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয় এই মিটারের বিল পরিশোধের বিষয়টি। কেননা এখনও এই সেবা সব জায়গায় না থাকায় বিল পেমেন্ট করা যায় হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে।
মিসেস কাশফিয়া বলেন, “আমাদের মিটার বাসার বাইরে হওয়ায় আমরা কোন সিগনাল পাইনা যে কি পরিমাণ ইউজ করেছি, কতোটুকু বাকি আছে। এ কারণে মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে ক্রেডিট শেষ হয়ে কারেন্ট চলে যায়। বুঝিও না এটা লোডশেডিং নাকি মিটারের ক্রেডিট শেষ। পরে রিচার্জ করতে আবারও গরমের মধ্যে/ বৃষ্টির মধ্যে দূরে গিয়ে রিচার্জ করতে হয়।”
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাসিন্দা রোকসানা সিদ্দিকার। পোস্ট পেইডের চাইতে প্রিপেইডের মিটারে তার দ্বিগুণ বিল আসছে বলে তিনি আমাকে জানান।
“মাসে পাঁচশ টাকার কার্ড ভরি, কিন্তু মাস যায় না। লাইন কাইটা যায়। আগে ৪০০/৪৫০ টাকায় মাস পুরাইতো। আর এখন কার্ড ভরলেই ১৩০ টাকা কাইটা রাখে। কি জন্য কাটে জানিও না। কেউ কিছু বলেও না। এভাবেই চলতেসে।”
নরায়নগঞ্জের বন্দরের একটি বাসায় বসানো প্রি পেইড মিটার।
More Stories
যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, তিনজন আটক I
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম ছাত্র, থানায় মামলা