জাতির পিতাকে হত্যার জন্য দলের ভেতরে-বাইরে আগে থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো। আর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এমন অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় জীবনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর অবদান তুলে ধরেন আলোচকরা।গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা শত চেষ্টা করেও জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছতে পারেনি বরং বিশ্বে আরও উজ্জ্বল হয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে জাতিকে সারাজীবন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করে গেছেন তাদের মাঝেরই কিছু বিশ্বাসঘাতকের হাতে জীবন দিতে হয় তাকে। যাদের জন্য তিনি সারাটা জীবন কষ্ট করলেন, যাদের প্রতি জাতির পিতার অগাধ বিশ্বাস ছিল, তাদের মধ্য থেকেই কিছু বিশ্বাসঘাতক নির্মমভাবে তাকে হত্যা করল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই জিয়াউর রহমান দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করে। ক্ষমতায় যাবার পরে যারা জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দিয়েছিলো তাদের আর্দশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
এ সময় ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি। তিনি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালিয়েছেন এবং বন্ধুপ্রতিম দেশ, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়, তারাও বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চেয়েছিল।
More Stories
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার সেনাদের হামলায় দোনেৎস্কের বাখমুত শহরের পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ উদ্ধার ৩