সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে ফর্মে ফেরাতে আর কী করতে পারে বিসিবি? নিউজিল্যান্ড সফরে অতীতে অজেয় বাংলাদেশ এবারও স্বপ্ন দেখেছিল জয়ের। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার কথা ছিল তারা কী সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন?
টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ লিটনের ওপর আস্থা হারায়নি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। রোববার শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন ফেরেন মাত্র ৪ রানে। নিউজিল্যান্ড সফরে চার ম্যাচে এই ওপেনারের সংগ্রহ ১১ গড়ে মাত্র ৪৪ রান।
লিটনের মতো একই অবস্থা টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শূন্যরানে আউট হওয়া এই তারকা ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরেন ৩২ রানে। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ১ রানের বেশি করতে পারেননি সৌম্য। রোববার শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সৌম্য আউট হন মাত্র ৫ রানে।
নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আর চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় ৯.৫ গড়ে মাত্র ৩৮ রান করেন সৌম্য সরকার।
চার ম্যাচে ৪৮ আর ৩৮ রান করা লিটন-সৌম্যদের পরের ম্যাচে কী সুযোগ দেয়া উচিত!
অথচ এই লিটন-সৌম্যদের জায়গায় যদি ইমরুল কায়েস-জহুরুল ইসলাম অমি, নাজমুল হোসেন শান্তরা হতেন তাহলে চার ম্যাচ নয়, তার আগেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যেত। দল থেকে বাদ পড়ে দেশেও ফিরে আসতে হতো তাদের। অথচ বিদেশ সফরে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের পরও সৌম্য-লিটনরা কিসের জোরে দিনের পর দিন সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে তীব্র সমালোচনা।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে রোববার বলেন, ওরা দুইজন এ সফরে সুপার ফ্লপ। তাছাড়া দলের মধ্যে কোনো একতা নেই। লিটন চায় সৌম্য খারাপ করুক, তাহলে সে চান্স পাবে; আবার সৌম্য চায় লিটন খারাপ করুক তাহলে সে চান্স পাবে। আমি বুঝি না হাবিবুল বাশার, নান্নুর মতো নির্বাচকরা এসব কিছু দেখে না! নিউজিল্যান্ডের ছয়জন নিয়মিত তারকা দলে নেই। অথচ সেই দলের সঙ্গে আমাদের এমন পারফরম্যান্স। আজ যদি আফিফ হোসেন আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা দলের হাল না ধরত তাহলে আমার মনে হয় একশ রানের আগেই অলআউট হতো বাংলাদেশ।
More Stories
হারলে সিরিজ হাতছাড়া
প্রথম নারী রেফারি ফুটবলে
চারশর নিচে থামাতে চায় বাংলাদেশ