৯৯- এর পুনরাবৃত্তি হলো না। নিজেদের মাঠে নেপালই রেখে দিল ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা। বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের সেরা দল হিসেবেই ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছে তারা দশরথ স্টেডিয়ামে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২ গোল করে শিরোপার পথে এগিয়ে যায় নেপাল। শেষ দিকে মাহবুবু রহমান একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও সমতায় ফেরা হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় নেপালিরা। নিজেদের অর্ধে সময় নষ্ট না করে লম্বা বল বাড়িয়েছে তারা উইংয়ে অথবা অ্যাটাকিং থার্ডে। সেখানে দ্রুত মুভম্যান্টে বাংলাদেশের ডিফেন্সের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা।প্রথম গোলটি অবশ্য কর্নার থেকে। বক্সের ভেতর প্রথম টাচে বল ক্লিয়ার না হওয়ায় তা ফাঁকায় পেয়ে যান সনযোগ রাই, গড়ানো শটের জটলার ভেতর দিয়ে বল জালে জড়িয়েছেন তিনি। পরের গোলটিতেও ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সনযোগ রাইয়ের থ্র্রু পাস ধরে আনিসুর রহমানকে একা পেয়ে যান বিশাল রাই। প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়েছেন নেপালি মিডফিল্ডার।
উল্টো দিকে বাংলাদেশ নেপালি রক্ষণে কাঁপন ধরাতে পেরেছে সামান্যই। নিজেদের অর্ধে বল খেলে ওপরেই উঠতে পারছিলেন না জেমি ডে’র শিষ্যরা। পুরো প্রথমার্ধে বলার মত তাই কোনো সুযোগই তৈরী করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে মেহেদী হাসানের বদলী নেমে আক্রমণে কিছুটা গতি আনেন মাহবুবুর। ৮২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে তাঁর হেডেই স্কোরলাইন ২-১ করে বাংলাদেশ।
বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়েও সমতা ফেরানো সেই গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। এগিয়ে থাকা নেপালিরাও সেসসময় বারবার খেলার গতি নষ্ট করেছে। কাজে লাগানো যায়নি ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময়ও। নেপালের মাটিতে সর্বশেষ ১৯৯৯ সাফ গেমস ফুটবলের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এবার তারই পুনরাবৃত্তির সুযোগ পেয়েও তা হারালেন জামাল ভূঁইয়ারা।
More Stories
হারলে সিরিজ হাতছাড়া
প্রথম নারী রেফারি ফুটবলে
চারশর নিচে থামাতে চায় বাংলাদেশ