বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনা জন্য আবার নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট বিএনপি নেত্রীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এসে তার নমুনা নিয়ে যান বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামের নমুনা নেয়া হয়েছে। বাহ্যিকভাবে তার করোনা উপসর্গ এখন আর নেই। টেস্টের রেজাল্ট আসলে আমরা জানাতে পারব, ফাইনালি তিনি করোনা মুক্ত কি না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন কি না তা যাছাইয়ে নমুনা দিয়েছেন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তখন খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসার অন্তত ৯ জন করোনা আক্রান্ত।
করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
More Stories
চট্টগ্রামে রেলের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে আজ থেকে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী