১২ কেজি গাঁজাসহ পাবনা সদর থানার এসআই ওছিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার ২৬ এপ্রিল বিকালে পাবনার পুলিশ সুপার তাকে আটক করেন এবং মঙ্গলবার বিকালে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বুধবার ঘটনাটি মিডিয়াসহ সব মহলে জানাজানি হয়। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানতে পারেন সদর থানার এসআই ওছিমের কাছে গাঁজা রয়েছে। তিনি সোমবার বিকালে সদর থানায় গিয়ে এসআই ওছিমের ব্যক্তিগত ক্যাবিনেট থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। পরে তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই জিন্নাত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত এসআই ওছিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ প্রধানের কঠোর নির্দেশনা নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছি। অপরাধী সাধারণ মানুষ বা পুলিশ যেই হোক; বিচারের মুখোমুখি তাকে হতেই হবে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে এসআই ওছিম অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। কিন্তু মাত্র ৫ কেজি গাঁজাসহ আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত গাঁজাগুলো ওই সময় তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে রেখে দেন।
জানা গেছে, এসআই ওছিমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায়। তিনি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশের চাকরিতে প্রবেশ করেন এবং পদোন্নতি পেয়ে পর্যায়ক্রমে এসআই হন।
এদিকে পুলিশের এসআইকে মাদকসহ আটক এবং জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন পাবনার পুলিশ সুপার। পাবনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলেন, পুলিশ সুপার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তার নিম্নতম সহকর্মীকে রক্ষার চেষ্টা করেননি। এতে তিনি সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাস তিন মাস আগে পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান পাবনায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি পৌরসভা নির্বাচনে চরম নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়ে পাবনাবাসীর সুনাম কুড়ান। এছাড়া তিনি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবীসহ সব অপরাধীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে অভিযান অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ তিনি নিজের সহকর্মীকেও ছাড়েননি।
More Stories
চট্টগ্রামে রেলের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে আজ থেকে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী