ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক স্কুলছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি কিশোরগ্যাং চক্রের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌর সদরের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত স্কুলছাত্র নাইমুল ইসলাম নির্জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ডা. নুরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. নাইমুল ইসলাম নির্জন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্কুল ছুটি শেষে বোয়ালমারী বাজারের স্বর্ণকারপট্টি এলাকা থেকে চাচা মনির হোসেনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে হাসপাতাল রোডস্থ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে স্কুলের সামনে পৌঁছালে মো. রাহুল (১৬), কাজী খোয়াইব (১৫), মো. ইব্রাহীমসহ (১৫) ১০-১২ জনের একদল কিশোর নাইমুলের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে টানা-হেঁচড়া করতে করতে পশু হাসপাতাল সংলগ্ন নির্জন গলির মধ্যে নিয়ে যায়।
সেখানে নাইমুলকে পিঠমোড়া করে বেঁধে কাঠের বাটাম, লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরের একপর্যায় সে নিস্তেজ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কিশোর দুর্বৃত্তরা তার কাছে থাকা এক লাখ টাকা ও স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন নাইমুল ইসলামকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।
ঘটনার দিন রাতেই বোয়ালমারী থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ডা. মো. নুরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযুক্তরা সবাই চিহ্নিত কিশোর অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা চরম নিষ্ঠুরভাবে আমার ছেলেকে মেরে টাকা লুট করে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল আলম বলেন, আসলে বোয়ালমারীতে সে রকম কোনো কিশোর অপরাধী চক্র গড়ে ওঠেনি। বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো কেউ অপরাধে জড়াতে পারে। উল্লিখিত ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
More Stories
যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, তিনজন আটক I
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম ছাত্র, থানায় মামলা