বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালনার কাজ করতে গিয়ে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর আনন্দবাজার।
ওই তরুণীর অভিযোগ, পাটনার একটি হোটেলে দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
তিনি জানান, গত জুলাইতে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর কলকাতায় ফিরে এসে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টো এখন তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রোববার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই তরুণীর এক বান্ধবী।
পুলিশের কাছে ওই তরুণীর অভিযোগ, বিহারের মুজফফরপুরের বাসিন্দা হর্ষ রঞ্জন এবং তার বন্ধু বিক্রান্ত কেজরিওয়াল মিলে ৩ জুলাই পাটনার একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে। একটি বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালিকার কাজ নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।
ওই তরুণী জানিয়েছেন, হর্ষ ওই বিয়ের ইভেন্টে আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনার রাতে কাজের টাকা দেওয়ার কথা বলে তার হোটেলের ঘরে আসে হর্ষ ও বিক্রান্ত। এর পর তারা তাকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, সে সময় ওই হোটেলে তিনটি বিয়ের পার্টি চলছিল। ফলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেও লাভ হয়নি। ফোন করার চেষ্টা করলে তা কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্ষণের পর টেনেহিঁচড়ে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তার শরীরে পানি ঢেলে দেওয়া হয়।
প্রমাণ নষ্টের জন্যই এমনটি করা হয়েছিল বলে ওই তরুণীর দাবি।
পুলিশ সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ৪ জুলাই যাদবপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে তার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ১৫ জুলাই মামলাটি পাটনার গান্ধী ময়দান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৯ জুলাই পাটনার একটি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন ওই তরুণী।
তরুণীর দাবি, ঘটনার পর থেকে পাটনার গান্ধী ময়দান থানায় ফোন করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির কথা বলেও লাভ হয়নি। এখনও আমাকে নিয়মিত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মুখ বন্ধ রাখতে আমাকে টাকাও অফার করা হয়েছে।
তবে পাটনা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
More Stories
যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, তিনজন আটক I
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম ছাত্র, থানায় মামলা