30/09/2024

SkbTv Channel Bangla News

হিসাব মেলানোর সময় এসেছে: রাষ্ট্রপতি

Spread the love

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু এই স্বাধীনতা হঠাৎ করেই আসেনি। এর পেছনে রয়েছে শোষণ, নির্যাতন ও বঞ্চনার দীর্ঘ হতিহাস। হাজার বছরেরও বেশি সময় শোষণ-বঞ্চনা, নির্যাতন-নিপীড়নের দুঃসহ পথ অতিক্রম করলেও বাংলা ভাষাভাষী এ জনপদের মানুষের কোনো স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র ছিল না।দীর্ঘ নয় মাসের লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে মহাবিজয়।

‘আর এ বিজয়ের পেছনে যে ব্যক্তিটি সার্বক্ষণিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অনুসৃত ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কূটনৈতিক অঙ্গনে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমানবতার ইতিহাসে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। আমি আশা করি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও ভারতসহ বিশ্ব সম্প্রদায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের রাজনৈতিক নেতা এবং জনগণ বাংলাদেশকে যে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা স্মরণ করি, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো ভিডিওবার্তা এবং সশরীরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি।

দুই দেশের মধ্যে ১৯৭১ সাল থেকে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে- তা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আমি আশা করছি- ভারতের রাষ্ট্রপতির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছি। এটা একটি  জাতির জন্য খুব কম সময় নয়। সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম তা কতটুকু অর্জিত হয়েছে তার হিসাব মেলানোর।

রাষ্ট্রপ্রধান আরও বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একক দায়িত্ব নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বাধীনতা মানুষের অধিকার। অধিকারকে অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে উঠে। আবার অধিকারের অপপ্রয়োগ স্বাধীনতাকে খর্ব করে। স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না।

About The Author


Spread the love