ভোলায় পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত বেদে সম্প্রদায়কে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। রোববার সকালে জেলা সদরের পৌর ৯নং ওয়ার্ডের হেলিপ্যাড এলাকার শতাধিক পরিবারকে টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগ বেদে পরিবারের জন্য বিশেষ ক্যাম্প চালু করে। এতে বয়স্কদের পাশাপাশি টিকা পাচ্ছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরাও।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ তাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সব শ্রেণির মানুষের জন্য টিকা কর্মসূচির আওতায় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে টিকা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক জানান, কোনো বিশেষ শ্রেণিকে টিকার বাইরে রেখে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে না। তাই বেদেদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বয়স ভেদে সিনোফার্ম ও ফাইজার এর টিকা দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তালিকা করে প্রায় শতাধিক বেদের মাঝে টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সব বেদে সম্প্রদায়সহ পিছনে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে করোনার টিকা প্রদান করা হবে। তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়কেও একইভাবে টিকা দেওয়া হবে।
বেদে সম্প্রদায়ের বাছিনুর বিবি বলেন, আমাগো বাড়িঘর অন্য এলাকায়, এখানে অনেক বছর যাবত থাকি, লোকে আমাগোরে যাযাবর বলে। প্রথমদিকে হাসপাতালে গেলে তাদের টিকা দেয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। হাসপাতালের ডাক্তারেরা কয় আমাগো আইডেন্টি কাগজ নাই। দুই দিন আগে কম্বল বিতরণকালে টিকার বিষয়টি জেলা প্রশাসক জেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলেও জানান বেদে পল্লির সরদার।
বেদে সর্দার খাইরুল ইসলাম বলেন, আগে বহুবার হাসপাতালে ডাক্তার গো কাছে আমার দলবল লইয়া গেছিলাম করনার টিকা দিতে। ডাক্তাররা কয় কাগজ লইয়া আইতে। আমাগো তো জাতীয় পরিচয়পত্র নাই। কাগজ নাই আমরা থাহি ভাসমান। এ সময় এরা শুধু টিকা নয়, সরকারের সব সুবিধা পাওয়ার দাবি জানান।
More Stories
২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী
মৃত্যু বেড়ে ১০৭ দেশে বন্যায়