অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আরনিমা হায়াৎ নামে ১৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী খুনের শিকার হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তার ‘সঙ্গী’ তাকে খুন করেছেন। তবে আরনিমার পরিবারের দাবি, ছয় মাস আগে পরিবারের অমতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মিরাজ জাফরকে বিয়ে করেন আরনিমা। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
এ হত্যার দায়ে আরনিমার স্বামী ২০ বছর বয়সী মিরাজ জাফরকে আটক করেছে পুলিশ। দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন মিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, আরনিমা হায়াতের মৃতদেহ সিডনির পেনাল্ট হিলস রোডের তার বাসার বাথটাব থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাথটাবটি রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থে পরিপূর্ণ ছিল।
পুলিশের ধারণা, খুনের আলামত ধ্বংস করতে মৃতদেহটি রাসায়নিকের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। রোববার আরনিমার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরনিমার খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের এক সদস্য জরুরি সেবায় বিষয়টি জানান। এরপর আরনিমার বাসায় গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় বাথটাবে পড়ে আছে তার দেহ।
পুলিশ বাথটাবে রাসায়নিক পদার্থ দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারাই আরনিমার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সিডনির পুলিশ কর্মকর্তা জুলি বুন টুজিবি রেডিওকে জানান, ওই সময়ের চিত্রটি ছিল ভয়াবহ।
জানা গেছে, বাবা আবু হায়াৎ ও মা মাহাফুজা হায়াৎে এর সঙ্গে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেন আরনিমা। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন পুরান ঢাকায়।
এদিকে মিরাজ জাফরকে আটক করা হলেও তিনি আদালত হাজিরা দেননি। ফলে জামিনও চাননি তিনি। আগামী ৫ এপ্রিল ভিডিও কলের মাধ্যমে আদালতে তোলা হবে মিরাজকে।
সূত্র: সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
More Stories
২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
এই পদত্যাগে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না: তথ্যমন্ত্রী
মৃত্যু বেড়ে ১০৭ দেশে বন্যায়