আতঙ্ক ও হতাশায় দিন কাটছে বাখমুতের বাসিন্দাদের। সেনা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এক দল মানুষ চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে খবর দেখছেন।
পশ্চিমাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ এ শহরটির দখল নিতে গত ৬ মাস অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
বাখমুতের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের অবস্থান সুরক্ষায় যা রয়েছে, তার সবই অব্যাহতভাবে ধ্বংস করছে শত্রুরা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন। তিনি এ সফরে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহে চীনকে হুঁশিয়ারি দেন। তার সফরের দিনেই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বাখমুতের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর যেসব অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে দোনেৎস্কের বাখমুত সেগুলোর একটি। বর্তমানে দোনেৎস্কের বেশিরভাগ অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাণিজ্যিক নগরী বাখমুতে গত কয়েকদিনে হামলার তীব্রতা অনেক বেড়েছে। হামলা বাড়িয়ে অবশ্য সাফল্যও পেয়েছে রুশ বাহিনী।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের বিচ্ছিন্নবাদী নেতা ডেনিস পুসিলিন বলেছেন, বাখমুতে ঢোকার সকল রাস্তা কার্যত আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্ত্বেও এখনো ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। যেসব সেনা বাখমুত রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের ‘সত্যিকারের হিরো’ বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি।
এছাড়া তিনি আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি যুদ্ধবিমান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পশ্চিমা দেশগুলোর যুদ্ধবিমান ইউক্রেন পায় তাহলে, আমাদের দেশের সব অঞ্চলকে রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদের কাছ থেকে রক্ষা করতে পারব। সূত্র: বিবিসি
More Stories
ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ উদ্ধার ৩
জ্বালানি ইস্যুতে সরকারি পদক্ষেপে বাঁচবে ইউরোপীয়দের জীবন