24/12/2024

SkbTv Channel Bangla News

বড় শক্তি নিয়ে নামতে চেয়েছিল জঙ্গিরা

Spread the love

বড় শক্তি নিয়ে নামতে চেয়েছিল জঙ্গিরা
আজ ১ জুলাই। পাঁচ বছর আগের এই দিনে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নৃশংস জঙ্গি হামলা সংঘটিত হয়। ভয়াল সেই হামলার পর দেশ ব্যাপী জঙ্গিবাদবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর পর গত পাঁচ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানে ২ হাজার ৪১১ জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে, নিহত হয়েছে ৯০ জন। টানা অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়া জঙ্গিগোষ্ঠী একপর্যায়ে অস্তিত্ব রক্ষায় সচেষ্ট হয়। উপরন্তু শক্তি বৃদ্ধি করে মাঠে নামতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা চালায়। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ভঙ্গুরপ্রায় সাংগঠনিক কাঠামো দৃঢ় করতে গোষ্ঠীগুলো এক ছাতার নিচে আসার ছক কষে। প্রায় অভিন্ন মতাদর্শের সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি), জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো চেষ্টা চালায় সমন্বিত একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার। তবে আদর্শগত অভিন্নতা সত্ত্বেও কর্মপরিকল্পনা ও অভিযান পরিচালনার বিষয়ে নানা ভিন্নতা থাকায় শেষ পর্যন্ত সেই ছকও বিফলে গেছে। তাতেও হতাশ হয়নি এসব গোষ্ঠী। এক ছাতার নিচে একই কাতারে আসতে না পারলেও সংগঠনগুলো যেন পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, সে বিষয়ে একমত পোষণ করেন এসব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব।
জঙ্গিবাদ দমনে যুক্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার
টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, র‌্যাব ও অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি আছে বলে তারা মনে করছেন না। তবে বৈশি^ক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
র‌্যাবের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪১২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত এ বাহিনীটি। এ সময়কালে র‌্যাব ৬০৭টি জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে নিহত হয়েছে ২৫ জঙ্গি।
সিটিটিসির পরিসংখ্যান বলছে, হলি আর্টিজানে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯০০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চার শতাধিক অভিযানে নিহত হয়েছে ৬৫ জঙ্গি।
এটিইউর হিসাবে, একই সময়কালে ৫৯টি অভিযানে ৯৯ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটিটিসিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, ‘যে প্ল্যাটফর্মেই থাকুক তাদের পরিচয় একটিইÑ জঙ্গি। সিটিটিসিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে বড় ধরনের হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা জঙ্গিগোষ্ঠীর নেই।’
এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে চেয়েছিল হুজিবি, জেএমবি ও এবিটি
হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে হুজিবি, জেএমবি ও এবিটি একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে ভারতে অবস্থানরত জেএমবির বর্তমান আমির সালাউদ্দীন ওরফে সালেহীন, এবিটির সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়া ওরফে মেজর জিয়া ও হুজিবির কারাবন্দি এক নেতার যোগাযোগ হয়। আলোচনা হয় একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার।
২০১৯ সালে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগর এলাকা থেকে জেএমবির তৎকালীন আমির আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে হাদীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, আবু রায়হানের সঙ্গে ভারত থেকে সালেহীন প্রায়ই যোগাযোগ করতেন। আবু রায়হানের মাধ্যমে মেজর জিয়া এবং হুজিবির এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সালেহীন।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। সিটিটিসি সূত্র জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছেÑ রেজাউল হক রেজা ভারতে গিয়ে জেএমবির আমির সালেহীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক পরামর্শ নিয়ে এসেছিলেন।
সূত্র জানায়, জেএমবির বর্তমান শীর্ষ নেতা পলাতক সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ভারতে বসেই একিউআইএসের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। এ ক্ষেত্রে জেএমবির কারাবন্দি আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের এক মেয়েও যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন। সাইদুর রহমানের ওই মেয়েকে বিয়ে করেন জামা’আতুল মুসলেমিনের এক সময়ের নেতা এজাজ হোসেন ওরফে সাজ্জাদ ওরফে কারগিল। বেশ কয়েক বছর আগে তারা পাকিস্তান চলে যান।
দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা দেখা গেছে, এগুলোর বেশিরভাগই কোনো না কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর মতাদর্শে গড়ে ওঠা। এর মধ্যে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতাদর্শে গড়ে উঠেছে দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো। এবিটি তো রীতিমতো নিজেদের দাবি করে থাকে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) হিসেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতে বসে সালেহীন একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য হুজিবি ও এবিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ক্ষেত্রে তারা যোগোযোগের গোপনীয়তা রক্ষায় চ্যানেল ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছেন। এ তিন সংগঠনের মানহাজ (মতাদর্শ) এক, এ বিষয়ে নেতারা একমত হন। তবে সংগঠনগুলোর কর্মপদ্ধতি ও অপারেশনের ধরন ভিন্ন হওয়ায় সংগঠন তিনটি একই প্ল্যাটফর্মে এলে বরং নিরাপত্তাজনিত সংকটের আশঙ্কা করেন তারা। তাই এক ছাতার নিচে আসা হয়নি সংগঠনগুলোর। তবে তা আপাতত এবং প্রতিটি সংগঠন পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেই পারে, এ বিষয়ে তারা দ্বিধাহীন।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, একে অন্যকে (জঙ্গি সংগঠনগুলো) সহযোগিতা করার বিষয়টি এমন হতে পারেÑ একটি সংগঠনের যে কোনো একটি টার্গেট সুবিধা বুঝে অন্য একটি সংগঠন বাস্তবায়ন করে দিল।
দীর্ঘদিন হুজিবির কোনো তৎপরতা ছিল না। তবে সম্প্রতিক সময়ে হুজিবি ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় এবং সাংগঠনিক কোনো কাঠামো না-থাকা হুজিবি ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টায় তৎপর হুজিবি।
২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর হুজিবির শীর্ষ নেতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এই তিনজনের মধ্যে বোমা বিশেষজ্ঞ মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯) একসময় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, আয়মান আল জাওয়াহিরি ও তালেবান নেতা মোল্লা মুহাম্মদ ওমরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন। দেশে ফিরে তারা হুজিকে নতুন করে সংগঠিত করছিলেন বলে সিটিটিসির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়।
একলা চলো নীতিতে নব্য জেএমবি
আল কায়েদার মতাদর্শী হওয়ায় হুজিবি, জেএমবি ও এবিটির মধ্যে আদর্শগত মিল রয়েছে। তবে নব্য জেএমবি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে উজ্জীবিত। আল কায়েদা আর আইএসের মধ্যে আদর্শগত দিক থেকে বিস্তর ফারাক। সঙ্গত কারণেই নব্য জেএমবিকে অন্য তিনটি সংগঠনের সঙ্গে এক ছাতার নিচে আসার বিষয়ে আলোচনায় আকৃষ্ট হয়নি।
হুজিবির পর বড় নৃশংস ঘটনার জন্ম দেয় এই নব্য জেএমবি। হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হামলার মাধ্যমে স্তম্ভিত করে দেয় আইএস অনুসারী এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইসহ শীর্ষ জঙ্গিদের ফাঁসির পর অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে জেএমবির তৎপরতা। ওই সময়ে দলীয় কোন্দলে সংগঠনটির সদস্যরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেলে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও অতি উগ্রপন্থিরা নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজতে থাকে। আর সে সময়ই আইএসের আদর্শ অনুসরণে উত্থান ঘটে নব্য জেএমবির। প্রথম দিকে বিদেশি নাগরিক, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী, হিন্দু পুরোহিত, শিয়া মতাবলম্বীদের হত্যা এবং আহমদিয়া ও শিয়া মসজিদে হামলা চালায় তারা।
একপর্যায়ে এই সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালানোর পর নব্য জেএমবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের সব স্তরে। এর পর দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক অভিযানে একের পর এক আস্তানা ধ্বংস হলে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে নব্য জেএমবি। এ অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে এগোতে থাকে জঙ্গি সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ‘লোন উলফ’ অথবা ‘উলফ প্যাক’ কৌশল অবলম্বন করে একাকী ছোট ছোট হামলার মাধ্যমে নিজেদের ্অস্তিত্ব জানান দিতে থাকে তারা। রাজধানীর ট্রাফিক পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে বেশ কিছু বোমা হামলা চালায় নব্য জেএমবির ছোট গ্রুপগুলো। যদিও এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত থাকায় গ্রেপ্তারের নব্য জেএমবির পুরো সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন হযে পড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য।
নব্য জেএমবি, এবিটি ও জেএমবির আগের মতো শক্তি-সামর্থ্য না থাকলেও এখনো এগুলো নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞা। আর হুজিবির মতো সংগঠন ফের শক্তি সঞ্চয়ে সমর্থ হলে সেটিও ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘আদর্শগত এক ধরনের মিল থাকার কারণে ওই তিনটি জঙ্গি সংগঠন একটি কমন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমানে এগুলো স্তমিত হয়ে এলেও তাদের দাওয়াত ও রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম জারি রয়েছে। তার প্রমাণ হলোÑ তারা ধরাও পড়ছে মাঝেমধ্যে। তারা বড় ধরনের নাশকতা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে। তিনি বলেন, সামনে আমাদের একটা বিপদ হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যদি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য পুরোপুরি চলে যায়, সেখানে একটি তালেবান রাষ্ট্র গড়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে। তখন কিন্তু এটা সব উপমহাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করবে। যার ফলে আমাদের এখান থেকে যেভাবে সিরিয়াতে গিয়েছিল আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে, ঠিক সেভাবে তাদের পক্ষে আফগনিস্তান যাওয়াও খুবই সম্ভব। বরং আরও সহজ হবে। সে ধরনের নেটওয়ার্ক তাদের আছে। কাজেই বর্তমানে আমরা ভালো অবস্থানে থাকলেও ভবিষ্যতে একটি আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছি। এ কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
হলি আর্টিজানে হামলার পাঁচ বছর
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নব্য জেএমবি। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে ৫ জঙ্গি ও এক সন্দেহভাজন নিহত হয়। হলি আর্টিজানে অভিযানের শুরুতেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ নামে পরিচালিত কমান্ডো অভিযানের পর ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসÑ এমন খবর দেয় জঙ্গিবাদের অনলাইন কার্যক্রম নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স।

About The Author


Spread the love