24/12/2024

SkbTv Channel Bangla News

চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা

Spread the love

চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা

ফরিদপুরে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এ জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী, মাগুরা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহ থেকেও আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসছেন ফরিদপুরের ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। এতে বাড়ছে রোগীর চাপ। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
জানা গেছে, রোগীর চাপ বাড়ায় সম্প্রতি ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে কাজ করছেন ৬৪ চিকিৎসক। এখানে আইসিইউ রয়েছে ১৬টি। হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। পাইপের ম্যধমে প্রতি সিটের সঙ্গে অক্সিজেন সেবা স্থাপন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সেবিকা বলেন, হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে যে পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছেন তা যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। এ জন্য সম্প্রতি ১২৫ জন চিকিৎসক চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ওয়ার্ডে বেশিরভাগ সিটে রোগী ভর্তি। রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন থাকছেন একই ওয়ার্ডে। এর ফলে তাদেরও আক্রান্তের ঝুঁকি থাকছে। প্রতিদিন আশপাশের জেলা থেকে করোনার রোগী আসার কারণে সেবা দিতে বিঘœ ঘটছে।
এদিকে রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। মাদারীপুর থেকে আসা মাজেদ মোল্লা বলেন, মেডিক্যালে এসে আমাদের নানা রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোথাও সিট পাচ্ছিলাম না। পরে দালালের মাধ্যমে সিট পেলাম।
ফরিদপুর সদরের জামাল হোসেন বলেন, এখানে যে পরিবেশ, তাতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যবহার করা কঠিন। রোগীদের রাখা হচ্ছে নোংরা জায়গায়।
আল্লাউদ্দিন শেখ নামে এক রোগী বলেন, আমার বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। তা হলে সরকারি হাসপাতালে থেকে লাভ কী?
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যানোলা ও অক্সিজেন রয়েছে। যার কারণে সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে না।

About The Author


Spread the love